দীর্ঘদিন ধরে 'ক' রাষ্ট্রটিতে একটি সুষ্ঠু ধারা বিরাজ করে আসছে। কিন্তু এমন এক সময় ছিল যখন সরকার নিজের খুশিমতো সবকিছু করত। পরবর্তীতে জনগণের আন্দোলনের ফলে ব্যাপক জনমত গড়ে ওঠে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। সরকার সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। ধনী-গরিব, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সব রকম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকে।
ফলে রাষ্ট্রটিতে সকলে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছে।
উদ্দীপকে বর্ণিত 'ক' দেশটিতে যে পরিবর্তিত রাজনৈতিক কাঠামো দেখা যাচ্ছে, তা একটি মাইলফলক। এ দেশটিতে প্রথমে যে অবস্থা ছিল তা সবারই অপ্রত্যাশিত। সে সময়কার সরকার নিজের ইচ্ছামত সবকিছু করত। স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারণে সরকার জনমতের কোনো তোয়াক্কা করত বলে মনে হয় না। সরকারের এরূপ নীতিহীন কাজের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠে। এক সময় এ জনমত সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয় এবং সরকারের পতন ঘটে। এ সরকারের পতন ঘটানোর পর একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক সরকার দেশ পরিচালনার ভার নেয়। নব নির্বাচিত সরকার জনমতকে শ্রদ্ধার সাথে মেনে নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। ফলে দেশে আইনের শাসন বিরাজ করছে। সরকার দেশে ন্যায়ভিত্তিক বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে। সামাজিক বৈষম্য দূর করে সবার জন্য নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। জনগণের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি করার জন্য সরকার যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি ২ওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো স্বৈরাচার সরকারবিরোধী আন্দোলন। আর এ আন্দোলন গড়ে ওঠে মূলত জনমতের ভিত্তিতে। জনমত একটি সরকারকে উৎখাত করে অপর একটি সরকার ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এরূপ প্রত্যাশিত উন্নত রাজনৈতিক কাঠামো গঠনের ক্ষেত্রে জনমতের ভূমিকাই ছিল প্রধান। তাই বলা যায়, উপযুক্ত কাঠামো তৈরিতে জনমত প্রধান হাতিয়ার।