জাকিরুল আলম সাহেব যুক্তিবাদী ও রাজনীতি সচেতন মানুষ হিসেবে এলাকায় সবার শ্রদ্ধেয়। তাঁর পাড়ায় দুজন রাজনীতিবিদ এদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা। দল দুটিকে যেমন কোনো বিষয়েই একমত হতে দেখা যায় না, তেমনি এ দুজনও সবসময় পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়ে থাকেন। জাকিরুল আলম সাহেব এ দুজন নেতাকে এর অশুভ পরিণাম সম্পর্কে সাবধান করেন। তিনি সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার ওপর সবসময় গুরুত্ব প্রদান করেন।
এর ফলে তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে জনমত গড়ে উঠছে।
উদ্দীপকে জাকিরুল আলম সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। কেননা সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গণতন্ত্র বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। গণতান্ত্রিক মনোভাব দ্বারা রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিকশিত হলে জাতীয় সংহতি দৃঢ় ও শক্তিশালী হয় এবং সার্বিক অর্থে রাষ্ট্রের উন্নয়ন সাধিত হয়। উন্নত রাজনৈতিকসংস্কৃতিতে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পায়। রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকে। উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে রাজনৈতিক নেতাদের ওপর জনগণের আস্থা থাকে। আর জনগণের আস্থার ওপর শাসক কর্তৃপক্ষের স্থায়িত্ব নির্ভর করে। উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে রাষ্ট্রব্যবস্থা কোনো সাম্প্রদায়িক স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হয় না। কিন্তু অনুন্নত রাষ্ট্রগুলোতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি যথাযথ ও সুষ্ঠুভাবে বিকাশ লাভ না করায় সেসব রাষ্ট্রে গণতন্ত্র বিতর্কিত হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটলে রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি হয়। জনগণের অধিকার ও ব্যক্তিস্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়। ফলে সুশাসন বাধাপ্রাপ্ত হয়। এজন্য গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার জন্য এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য উদ্দীপকে জাকিরুল আলম সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন।