বাংলাদেশের বেশকিছু দৈনিক পত্রিকা রাজনৈতিক নেতা, বুদ্ধিজীবী, পরিবেশবিদসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিভিন্ন ইস্যুতে দেওয়া বক্তব্যের ওপর জরিপ চালান। নির্দিষ্ট কিছু মানুষের কাছে এসব বক্তব্য সম্পর্কে মতামত চাওয়া হয়। অনেক সময় দেশের চলমান সংকট কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়েও এরূপ জরিপ চালানো হয় এবং তা প্রকাশ করা হয়। এর ফলে সুষ্ঠু জনমত গড়ে ওঠে।
আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের সাফল্য নির্ভর করে সুষ্ঠু ও সচেতন জনমতের ওপর। বাংলাদেশে জনমত গঠনের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। সংবাদপত্র হচ্ছে এর মধ্যে অন্যতম। জনমত গঠনে সবচেয়ে কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সংবাদপত্র। এজন্যই বলা হয়, "প্রেস যেভাবে বলে জনমত সেভাবেই গড়ে ওঠে।" অধ্যাপক লাস্কি বলেন, "রাজনৈতিক স্বাধীনতা সংরক্ষণের জন্য সৎ ও অবিকৃত সংবাদ পরিবেশন আবশ্যক।" তাছাড়া রেডিও-টেলিভিশন ইত্যাদি দেশ-বিদেশের খবরাখবর, সংবাদ পর্যালোচনা, সমীক্ষা, টক শো, সমাজসচেতন নাটক ইত্যাদি প্রচার করে সুষ্ঠু জনমত গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে। আইনসভায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনা-সমালোচনা হয়। এসব তর্ক-বিতর্ক মূল্যায়ন করে জনগণ স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত গঠন করতে পারে। এছাড়া জনমত গঠনের উল্লেখযোগ্য আরও কয়েকটি মাধ্যম হচ্ছে সভাসমিতি, চলচ্চিত্র, রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার, ধর্মীয় সংঘ, পেশা বা ব্যবসায়ভিত্তিক সংঘ ইত্যাদি।