পাভেল নিয়মিত পত্রিকা পড়ে। ইদানীং সে লক্ষ করছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে জরিপ করা হয়। এতে একটি বিষয়ে জনগণের বিশাল অংশ সমর্থন কিংবা বিরোধিতা করে। পাভেল তার বাবার কাছে জানতে চায়, এ ধরনের জরিপ কি সত্যিই কাজে লাগে? বাবা বলেন, এ জরিপের মাধ্যমে একটি প্রভাবশালী মত গড়ে ওঠে। জনগণ যুক্তির আশ্রয়েই তাদের মতামত তুলে ধরে। পাভেল - বলে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। তাছাড়া সভাসমিতি, চলচ্চিত্র, রেডিও, টেলিভিশন
এবং সংবাদপত্রের মাধ্যমেও মতামত জানতে চাওয়া হয়।
উদ্দীপকে আলোচ্য বিষয়টির সকল মাধ্যমের প্রতিফলন পাওয়া যায় না। উত্তরের সপক্ষে নিচে যুক্তি প্রদর্শন করা হলো-
আলোচ্য উদ্দীপকে জনমতের মাধ্যম হিসেবে শুধু সংবাদপত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সভা সমিতি, চলচ্চিত্র, রেডিও এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে জনমত গঠনের প্রতিফলন ঘটেছে। কিন্তু এ সকল মাধ্যম ছাড়াও জনমত গঠনের ক্ষেত্রে পরিবার, পুস্তক-পুস্তিকা ও সাহিত্য, আইনসভা, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন, প্রতিবেশী ও বন্ধুবান্ধব, পেশাগত সমিতি ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পোস্টার, দেওয়াল লিখন, ব্যাঙ্গচিত্র ও কার্টুন, পথ নাটক, ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক মাধ্যম ইত্যাদি মাধ্যমগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে তথ্যভিত্তিক জনমত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সমস্ত মাধ্যমগুলোর মধ্যে বর্তমান সময়ে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি এ জনমত গঠনের কাজ করছে তা হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি এ যে, বর্তমান সময়ে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনমত গড়ে তুলছে। যা উদ্দীপকে বর্ণিত - মাধ্যমগুলোর চেয়ে বেশি কার্যকর হচ্ছে।