ব্যারোনেস সৈয়দা ওয়ার্সী ব্রিটেনের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল ও ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আপাদমস্তক তিনি একজন রাজনীতিবিদ এবং মেধা ও যোগ্যতা বলে বর্তমানে এ পদে আসীন হয়েছেন। তিনি ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত নন; এমনকি সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের। বিষয় দুটির কোনোটিই তার রাজনীতির পথ চলায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ব্রিটেনের রাজনীতিতে এ ধরনের নেতিবাচক মনোভাব, বিশ্বাস ও মূল্যবোধ প্রাধান্য পায় না।
উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাটি ব্রিটেনের উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতি ইঙ্গিত বহন করে। নিচে রাজনৈতিক সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যসমূহ দেওয়া হলো-
১. রাজনৈতিক সংস্কৃতি হচ্ছে রাজনৈতিক অনুভূতিসমূহের সমষ্টি। একটি রাজনৈতিক সমাজে মানুষ যা ভাবে বা অনুভব করে তার সমন্টিই হচ্ছে রাজনৈতিক সংস্কৃতি।
২. একটি রাজনৈতিক সমাজের মানুষ রাজনৈতিক বিষয়ে কী চিন্তা করে এবং কীভাবে চিন্তা করে অর্থাৎ তাদের মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি কীরূপ তাই হচ্ছে একটি সমাজ বা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি।
৩. রাজনৈতিক সংস্কৃতি হচ্ছে রাজনৈতিক ব্যবস্থার দর্পণ বা প্রতিচ্ছবি। রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে। একটি দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার গতি-প্রকৃতি দেখে সে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি কীরূপ তা সহজেই অনুমান করা যায়।
৪. রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা রীতিনীতি, লক্ষ ও দৃষ্টিভঙ্গি, বিরোধ মীমাংসার অনুসৃত নীতি-পদ্ধতি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়সমূহের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি প্রভৃতি বিষয়ে ঐক্য ও সমঝোতা বিষয়ক জ্ঞান সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গিই হচ্ছে রাজনৈতিক সংস্কৃতি।
৫. রাজনৈতিক সংস্কৃতি রাজনৈতিক ব্যবস্থার গভীরে প্রবেশ করে এবং অন্তর্নিহিত ও মনস্তাত্ত্বিক দিকের প্রকাশ ঘটায়। রাজনৈতিক সংস্কৃতি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দাবি যথাযথ স্থানে পেশ করতে সাহায্য করে।