উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক রহমান সাহেব সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাঁটতে এসেছেন। উদ্যানে রয়েছে অজস্র গাছপালা, যার মধ্যে কিছু গাছে ফুল ফুটে আছে, কিছু গাছে ফল ধরে আছে, আবার কিছু ফুল-ফল ছাড়াই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। প্রকৃতির এই বৈচিত্র্যপূর্ণ গাছপালা দেখে রহমান সাহেব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন যে, উদ্যানে রয়েছে মূলত দুই শ্রেণির উদ্ভিদ, যার কিছু হচ্ছে সপুষ্পক শ্রেণির উদ্ভিদ এবং কিছু হচ্ছে অপুষ্পক শ্রেণির উদ্ভিদ।
উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক রহমান সাহেব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাঁটতে এসে বিভিন্ন গাছপালা দেখেন। এর মধ্যে কিছু গাছে ফুল ফোটে, কিছু গাছে ফল ধরে, আবার কিছু গাছ ফুল-ফল ছাড়াই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। প্রকৃতির এ বৈচিত্র্যপূর্ণ গাছপালা দেখেই তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন যে, উদ্যানে দুই শ্রেণির উদ্ভিদ রয়েছে। যার কিছু সপুষ্পক উদ্ভিদ এবং কিছু অপুষ্পক উদ্ভিদ। রহমান সাহেব তার ব্যবহারিক সুবিধা বা বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এই শ্রেণিকরণটি করেছেন।
সাধারণত ব্যবহারিক সুবিধা বা বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য গুরুত্বহীন ও বাহ্যিক সাদৃশ্যের ভিত্তিতে জাগতিক বস্তু বা ঘটনাবলিকে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিন্যস্ত করার মানসিক প্রক্রিয়াকে কৃত্রিম শ্রেণিকরণ বলে। বস্তুত কৃত্রিম শ্রেণিকরণে কোনোরূপ প্রাকৃতিক বা বৈজ্ঞানিক নিয়ম অনুসরণ করা হয় না। এ জন্য একে অবৈজ্ঞানিক শ্রেণিকরণ বলা হয়। মূলত ব্যবহারিক বা প্রায়োগিক সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে এরূপ শ্রেণিকরণের প্রধান কাজ।
সর্বোপরি সব দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, রহমান সাহেবের শ্রেণিকরণটি কৃত্রিম।