রাসেল একটি চিড়িয়াখানায় কাজ করে। তার কাজ হলো বাঘ, সিংহের খাঁচা একদিকে রাখা এবং হরিণ, নীলগাইয়ের খাঁচা অন্যদিকে রাখা। কামাল একটি আয়ুর্বেদিক সেন্টারে কাজ করে। তার কাজ হলো নিম, চিরতা ও কালোমেঘ জাতীয় উদ্ভিদ সংরক্ষণ করা।
উদ্দীপকে রাসেলের কর্মকাণ্ড এবং কামালের কর্মকাণ্ড শ্রেণিকরণের দিক থেকে আলাদা। উভয়ের কর্মকাণ্ড শ্রেণিকরণের দিক থেকে যেভাবে আলাদা তা বিশ্লেষণ করা হলো-
রাসেল একটি চিড়িয়াখানায় কাজ করে। তার কাজ হলো বাঘ, সিংহের খাঁচা একদিকে রাখা এবং হরিণ, নীলগাইয়ের খাঁচা অন্যদিকে রাখা। এক্ষেত্রে রাসেল মৌলিক সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্যের ভিত্তিতে প্রাণিগুলোকে ভাগ করে বিন্যস্ত করে। তেমনি প্রাণিবিজ্ঞানীরা প্রাণির আচরণ ও প্রকৃতিগত দিক লক্ষ করে প্রাণিদের বিভিন্ন পর্বে বিভক্ত বা শ্রেণিভুক্ত করেন। উদ্দীপকের রাসেলও প্রাণির আচরণ ও প্রকৃতিগত দিক লক্ষ করে বাঘ ও সিংহের খাঁচা একদিকে এবং হরিণ ও নীলগাইয়ের খাঁচা অন্যদিকে রাখে। ফলে তার কর্মকাণ্ডে প্রাকৃতিক শ্রেণিকরণের দিকটি ফুটে উঠেছে।
করা। এক্ষেত্রে কামাল ভেষজ বিভিন্ন গাছ-গাছড়ার রোগ নিরাময় ক্ষমতার ভিত্তিতে শ্রেণিকরণ করে। সে শ্রেণিকরণের ক্ষেত্রে গাছ-গাছড়ার মৌলিক সাদৃশ্য বাদ রেখে বিশেষ ব্যক্তির ব্যবহারিক প্রয়োজনে ইচ্ছামতো সাদৃশ্য বা বৈসাদৃশ্যের ভিত্তিতে শ্রেণিকরণ করে। সুতরাং কামালের কর্মকাণ্ডে কৃত্রিম শ্রেণিকরণের দিকটি ফুটে উঠেছে।
উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, রাসেলের কর্মকাণ্ডটি হলো প্রাকৃতিক শ্রেণিকরণ এবং কামালের কর্মকাণ্ডটি হলো কৃত্রিম শ্রেণিকরণ। তাই উদ্দীপকের রাসেল ও কামাল উভয়ের কর্মকাণ্ডই শ্রেণিকরণের দিক থেকে আলাদা।