সাহিদা একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। উচ্চতা অনুযায়ী তার ওজন বেশি হওয়ায় সে রাতে না খেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু এতে তার ওজন কমে না। এমতাবস্থায় পুষ্টিবিদ রেহানা বেগমের শরণাপন্ন হলে তিনি বলেন, 'শারীরিক কার্যকলাপের ওপর শক্তি ব্যয় নির্ভর করে।' তিনি আরও বলেন, 'শক্তি চাহিদা লিঙ্গ, বয়স, শারীরিক অবস্থাভেদে ভিন্ন হয়।'
উদ্দীপকে রেহানা বেগমের শেষের উক্তি নারী-পুরুষভেদে, বিভিন্ন বয়সে এবং বিভিন্ন শারীরিক অবস্থায় শক্তি চাহিদা বিভিন্ন হয়। শক্তি চাহিদায় বয়স, লিঙ্গ, পরিশ্রম, হরমোনের ক্ষরণ, দেহের আয়তন প্রভাব, বিস্তার করে। যার ফলে শক্তি চাহিদায় পার্থক্য দেখা যায়।
নারী ও পুরুষের মৌল বিপাক হার সমান হয় না। নারীর মৌল বিপাক হার সমবয়স্ক পুরুষের তুলনায় কম। নারী পুরুষের তুলনায় কম পরিশ্রমী এবং দেহে মেদ বেশি থাকে, অন্যথায় পুরুষের দৈহিক পরিশ্রমে পেশি চালনা তীব্রতর হয় বলে নারী অপেক্ষা পুরুষের বিপাক হার ১০%-২০% বেশি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মৌল বিপাক হার হ্রাস পেতে থাকে। বৃদ্ধদের তুলনায় যুবকের বিপাক বেশি হয়। শিশুদের বিপাক হার ১০%-১২% বেশি থাকে। জন্মের কয়েক মাস পর থেকে এটা সর্বাপেক্ষা বেশি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তৃতীয় বছরে হ্রাস পেয়ে যৌবনে সামান্য বৃদ্ধি পায়। ২৫ বছর থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত আবার ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। পুরুষের তুলনায় মহিলাদের বিপাক বেশি ওঠানামা করে। মাসিকের পূর্বে এই হার বাড়ে এবং মাসিকের পর কমে। গর্ভাবস্থার শেষ ভাগে মৌল বিপাক ১৫%-২৫% বৃদ্ধি পায়। এ সময়ে গর্ভবতী মহিলার ওজন বৃদ্ধি পায় এবং গর্ভস্থ ভ্রূণের বিপাক হার বেশি থাকে, সে কারণে মৌল বিপাক বৃদ্ধি পায়।
তাই বলা যায়, বিভিন্ন অবস্থাভেদে শক্তি চাহিদার তারতম্য হয়।