রেবা একজন কলেজ ছাত্রী। বয়স ২০ বছর। টিফিনে প্রতিদিন বার্গার/স্যান্ডুইচ, কেক, পেস্ট্রি ইত্যাদি খেতে ভালোবাসে। আইসক্রিম না খেলে তার মন খারাপ হয়। তার গ্রহণকৃত প্রতিদিনের খাবার থেকে সে ৩,০০০ ক্যালরি শক্তি পায়। রেবার মামি একজন পুষ্টিবিদ। তিনি রেবাকে খাদ্যভ্যাস পরিবর্তনের পরামর্শ দেন এবং বললেন কতগুলো বিষয় বিবেচনা করে ক্যালরি গ্রহণ করা উচিত।
রেবার পুষ্টিবিদ মামি তাকে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পাশাপাশি তিনি কতগুলো বিষয় বিবেচনা করে ক্যালরি গ্রহণ করতে বলেন।
রেবা তার শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করে। এর ফলে সে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাই তাকে তার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণের 'অভ্যাস করতে হবে। ক্যালরি গ্রহণে তাকে তার শরীরের ওজন ও উচ্চতার দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
বয়সের সাথে মৌল বিপাক হার সম্পর্কযুক্ত। বৃদ্ধদের তুলনায় যুবকদের বিপাক বেশি হয়। সেক্ষেত্রে তাদের ক্যালরির চাহিদা বেশি হয়। নারীদের মৌল বিপাক হার সমবয়সী পুরুষের তুলনায় কম। পুরুষেরা নারীদের তুলনায় অধিক পরিশ্রমী এবং পুরুষের দৈহিক পরিশ্রমে পেশি চালনা তীব্রতর হয় বলে তাদের ক্যালরি চাহিদা বেশি হয়। রেবা যেহেতু একজন নারী সেক্ষেত্রে তার ক্যালরি চাহিদা পুরুষের তুলনায় কম হবে। এছাড়া দেহের অন্ননালি গ্রন্থি হতে নিঃসৃত হরমোনের পরিমাণের ওপর মৌলিক বিপাক হার নির্ভর করে। থাইরক্সিন, এ্যাড্রিনালিন প্রভৃতি হরমোনের ক্ষরণ স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেলে মৌল বিপাক হারও বৃদ্ধি পায় এবং কম হলে কমে যায়। তাই ক্যালরি গ্রহণে এ বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হবে।
পুরুষের তুলনায় মহিলাদের বিপাক বেশি ওঠানামা করে। মাসিকের পূর্বে এই হার বাড়ে এবং মাসিকের পরে কমে। গর্ভাবস্থার শেষ ভাগে মৌল বিপাক ১৫%-২৫% বৃদ্ধি পায়। সেক্ষেত্রে মহিলাদের ক্যালরি গ্রহণে এ বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে। দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থা থেকে বৃদ্ধি পেলে অর্থাৎ জ্বরের সময় বিপাক হার বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে শরীরের ক্যালরির চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। উপরিউক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করে রেবাকে ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। সুতরাং রেবার মামির পরামর্শ যৌক্তিক।