সীমা একজন গৃহ ব্যবস্থাপক। সীমা গৃহে স্বাভাবিক কাজকর্মগুলো করে থাকেন। তার ১৬ বছরের একটি ছেলে আছে। স্বাস্থ্য সচেতন সীমা ছেলেকে প্রতিদিন ৯২ গ্রাম আমিষ ও ৫৭ গ্রাম স্নেহ দেন। প্রতিদিনের খাদ্যে মাংস ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যের আধিক্য থাকে যা থেকে তিনি প্রায় ৩০০০ কি. ক্যালরি তাপ শক্তি পান। ওজন বৃদ্ধি হওয়ায় তিনি খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন।
সীমার ছেলের খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক। প্রাণিদেহের কোষে শর্করা, প্রোটিন ও স্নেহজাতীয় খাদ্যের শক্তি বিশেষ জৈবিক প্রক্রিয়ায় জারিত হয়ে তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই শক্তির অংশবিশেষ বিভিন্ন প্রাণ রাসায়নিক ক্রিয়া সম্পন্নের জন্য শক্তি সরবরাহ করে। কিছু অংশ নতুন কোষ গঠনে ব্যবহৃত হয়।
দেহের প্রয়োজনের তুলনায় খাদ্য গ্রহণ কম হলে দেহের ওজন কমতে থাকে এবং দেহের প্রয়োজনের তুলনায় খাদ্য গ্রহণ বেশি হলে ওজন বাড়তে থাকে। তাই যেকোনো ব্যক্তির ওজন লক্ষ করলেই বোঝা যায় যে, তার খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ বেশি বা কম হচ্ছে কি না এবং 'খাদ্যগুলো তাকে ঠিকমতো শক্তি যোগাচ্ছে কি না। যদি ওজন ক্রমাগত বাড়তে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক ক্যালরি গ্রহণ করছে।
সীমা তার ছেলেকে প্রতিদিন ৯২ গ্রাম আমিষ ও ৫৭ গ্রাম স্নেহ দেন। এছাড়া প্রতিদিনের খাদ্যে মাংস ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যের আধিক্য থাকে যা থেকে প্রায় ৩০০০ কিলোক্যালরি তাপশক্তি পায়। যার ফলে তার ছেলের ওজন বেড়ে যায়। প্রয়োজনের তুলনায় অধিক ক্যালরি গ্রহণের কারণে সীমার ছেলের ওজন বেড়ে যায়। তাই সীমা ছেলের ওজন কমানোর জন্য খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন।