Academy

রিপন ও স্বপন পেশায় ব্যাংকার। এদের মধ্যে রিপন কোন কাজটি করা দরকার এবং কোনটি পরিহার করা দরকার তা বুঝতে পারেন। তিনি নিজে ভালো বক্তা এবং অন্যের বক্তব্যের দোষ-ত্রুটি সনাক্তকরণে সিদ্ধহস্ত। অন্যদিকে স্বপন সৎ জীবনযাপন করেন। সঠিক সময়ে অফিসে আসেন, এবং তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে তিনি কোনো ধরনের উৎকোচ গ্রহণ করে না। এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তিনি খুবই প্রশংসিত হন।

রিপন ও স্বপনের কর্মকান্ডে কী ধরনের পার্থক্য রয়েছে বলে তুমি মনে কর? বিশ্লেষণ কর। (উচ্চতর দক্ষতা)

dsuc.created: 8 months ago | dsuc.updated: 8 months ago
dsuc.updated: 8 months ago

উদ্দীপকে রিপন, স্বপনের মধ্যে যে ধরনের পার্থক্য আছে তা হলো নীতিবিদ্যা ও যুক্তিবিদ্যার মধ্যে পার্থক্যের মতো।

যুক্তিবিদ্যা হলো ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা সম্পর্কিত বিজ্ঞান। চিন্তার নিয়মাবলি নির্ণয় করে। যুক্তির বৈধতা-অবৈধতা বিচার করে। যুক্তির সত্যতা বা বৈধতা নির্দেশের নিয়মাবলি প্রণয়ন করে। শুধু প্রণয়ন করে না, এর দ্বারা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছে জ্ঞান অর্জন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে।

নীতিবিদ্যা হলো আদর্শ নিষ্ঠ বিজ্ঞান। সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে। এখন আমরা বলতে পারি যে, উদ্দীপকে রিপন সাহেবের কার্যকলাপের সাথে যুক্তিবিদ্যার বিষয়গত মিল রয়েছে; স্বপন সাহেবের সাথে নীতিবিদ্যার কার্যাদির মিল পাওয়া যায়।

রিপন সাহেব বুঝতে পারে কোন কাজ দরকারি, কোন কাজটি পরিহারি; স্বপন তার কর্মকাণ্ডে সব সময় সৎ থাকার চেষ্টা করেছেন। রিপন ভালো বক্তব্য দেওয়ার কৌশল সম্পর্কে অবগত এবং বক্তৃতা করার সময় দূষণীয় বিষয়গুলো কীভাবে পরিহার করতে হয় তার কৌশল সম্পর্কে জানেন। যেমনভাবে যুক্তিবিদ্যায় বৈধ-অবৈধ যুক্তির মধ্যে পার্থক্যের কৌশল বর্ণিত আছে। অপর দিকে স্বপন পেশাগত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন ও সৎ জীবনযাপন করেন যা নীতিবিদ্যার সাথে সম্পৃক্ত।. সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, রিপনের কর্মকান্ডে যুক্তিবিদ্যার ছাপ পরিলক্ষিত হয় আর স্বপনের কর্মকাণ্ডে নীতিবিদ্যার ছাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

8 months ago

যুক্তিবিদ্যা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion