দৃশ্যকল্প-১: ১৩/১৪ বছর বয়সি ইরাম তার শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন বুঝতে পারে, যা দ্রুত দু-এক বছরের মধ্য সম্পন্ন হয়। দৃশ্যকল্প-২
দৃশ্যকল্প-১: এ ইরামের কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, প্রথম বীর্যপাতের শুরু, দাড়ি গজানোসহ নানা রকমের শারীরিক পরিবর্তন সাধিত হয়।
বয়:সন্ধিকালে অর্থাৎ ১১ থেকে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে ও মেয়ে উভয়ের মধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এ সময়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো প্রজনন যন্ত্রের পূর্ণতা প্রাপ্তি। এ বয়সে ছেলেদের অণ্ডকোষের বৃদ্ধি শুরু হয়, বোগল ও গুপ্তস্থানে লোমের বৃদ্ধি হয়, কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন হয়, দাড়ি জন্মায়, প্রথম বীর্যপাতের শুরু হয় এবং অন্যান্য লোমেরও বৃদ্ধি হয়। বয়ঃসন্ধিকালের পূর্বে গোনাডোট্রপিক হরমোনের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় যৌন গ্রন্থির তৎপরতা বেড়ে যায় বলে যৌন পরিবর্তন শুরু হয়। এ বয়সে যৌন গ্রন্থির আকৃতি ও ক্ষমতার পরিবর্তন শুরু হওয়ায় লিঙ্গের আকৃতি বড় হয় ও সঠিক কার্যক্ষমতা অর্জন করে এবং গৌন যৌন বৈশিষ্ট্যের বিস্তৃতি ঘটে।
প্রদত্ত দৃশ্যকল্প-১ এ বর্ণিত ইরামের বয়স ১৩/১৪ বছর। এ সময়ে সে
বেশকিছু শারীরিক পরিবর্তন বুঝতে পারে যা দ্রুত দু-এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হয়। বয়স থেকে বোঝা যায় ইরাম বয়:সন্ধিকালে অবস্থান করছে। এ বয়সে প্রজনন ব্যবস্থা ও যৌন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ছেলে সন্তানের মধ্যে সন্তান উৎপাদনকারী অঙ্গসমূহের মধ্যে অন্ডকোষ (যা শুক্রাণু তৈরি করে), পুংলিঙ্গ (যা দিয়ে শুক্রাণু বের হয়) ও অন্যান্য আন্তসংযোগকারী অঙ্গসমূহ ও নালি রয়েছে, যা বয়ঃসন্ধিকালে পরিবর্তন হয়ে থাকে। এসময়ে ছেলেদের গৌন যৌন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে গুপ্তলোমের আবির্ভাব, মুখ ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গে লোমের উপস্থিতি ও কন্ঠস্বরের পরিবর্তন। গুপ্তলোমের আর্বিভাবের এক বৎসরের মধ্যে প্রথম বীর্যপাত শুরু হয়। তাই বলা যায়, বয়ঃসন্ধিকালে ইরামের মতো ছেলেদের উল্লেখযোগ্য শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।