দৃশ্যকল্প-২: বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবার অশিক্ষা, দারিদ্র্য, পূর্বসংস্কার এসবের প্রভাবে ছেলেমেয়েদের সাথে নেতিবাচক আচরণ করে থাকে যন্ত্র প্রভাব পরবর্তীতে সন্তানদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। তা ছাড়া সন্তানদের বং দল, খেলার সাথি, শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, মূল্যবোধ ইত্যাদি যদি গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ত্রুটিপূর্ণ হয়। ▲ শিখনফল-৩ ও ৫(ঢা. বো., দি. বো, সি বোং, য. বোং১৯
দৃশ্যকল্প-১ এ প্রদর্শিত চিত্রটিতে বয়ঃসন্ধিকালের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সাংস্কৃতিক পরিবেশের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে মেতে ওঠে। সাংস্কৃতির পরিবেশ হলো ব্যাপক অর্থে শিল্প সাহিত্য, নাটক, সংগীত, নৃত্য, খেলাধুলা, চিত্র, আচার-অনুষ্ঠান ইত্যাদি। অপরদিকে নিজস্ব জাতিগত সংস্কৃতি, ধর্মীয় সংস্কৃতি, পারিবারিক প্রথাগত বা ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি ইত্যাদির প্রভাব যা শিশু বা ব্যক্তির আচরণ ও মানসিক বিকাশকে প্রভাবিত করে।
বয়ঃসন্ধিকালে শিশুদের যে চাহিদাগুলো বিকাশ লাভ করে তার মধ্যে আত্মমর্যাদা ও আত্মস্বীকৃতি লাভের পাশাপাশি অবকাশ-বিনোদনের চাহিদা অন্যতম, যা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল বা পরিবেশের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ এবং নৈপূর্ণ অর্জন বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এক ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিল্প, সাহিত্য, নাটক, সংগীত, নৃত্য, খেলাধুলা ইত্যাদি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছেলেমেয়েদের নৈতিকতার পাশাপাশি কল্পনা শক্তিকে বিকশিত করে। সুতরাং দেখা যায়, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সাংস্কৃতিক পরিবেশের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।