পিইসি পরীক্ষার পর মা লক্ষ করলেন পাখির বেশ কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। তার হাতের পেশি বেশ শক্ত, কাঁধের, আকৃতি বেশ চওড়া এবং গলার স্বরও কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তার কপোলে ব্রণের মতো কি যেন দেখা যাচ্ছে। ফলে পাখিও আর আগের মতো বায়না ধরে না। একা একা থাকতে চায়। সে মনে করে মা-বাবা তার কথায় গুরুত্ব দেয় না এবং আগের মতো ভালোও বাসে না। সে আরও মনে করে তার বায়নাগুলো পূরণ করতে তারা যেন অনীহা প্রকাশ করে। তাই সে অনেকটাই বিমর্ষ থাকে। তার ধারণা তার পছন্দের কেনাকাটার ক্ষেত্রেও মা-বাবা কঠোরতা দেখাচ্ছে। তাই সে ভাবছে বড় হয়ে এমন এক পেশা নির্বাচন করবে যার উপার্জন দিয়ে সে তার সকল ইচ্ছা পূরণ করবে
উদ্দীপকে পাখির ধারণাগুলোতে বয়ঃসন্ধিকালীন মানসিক স্বাস্থ্যের পারিবারিক এবং অর্থনৈতিক উপাদানের প্রভাব লক্ষণীয়।
বয়ঃসন্ধিকাল হলো শিশুর ঝড়-ঝঞ্ঝার কাল। এই সময় শিশুরা চরম মানসিক অস্থিরতায় ভোগে। কখনো কখনো তাদের মধ্যে বিষণ্ণতা লক্ষ করা যায়। আবার কখনো কখনো তারা বিদ্রোহ প্রদর্শন করে। এমনি অবস্থায় শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে পারিবারিক পরিবেশের প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় মা-বাবার অতি আদর, অতি অবহেলা, অতিশাসন শিশুর স্বাভাবিক মানসিক স্বাস্থ্যকে বিঘ্নিত করে।
জীবিকার নিমিত্তে অর্থনৈতিক প্রভাব বয়ঃসন্ধিকালের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এ সময়ে ছেলে-মেয়েরা অর্থনীতির কথা বিশেষভাবে চিন্তা করে, তারা ভাবে কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। কোন পেশা নির্বাচন করলে সুখী হওয়া যায় অথবা কোন বৃত্তি বাছাই করলে জীবনে সফলতা আসবে- এ সময়ে ছেলেমেয়েরা তা চিন্তা করে।
উদ্দীপকে পাখি মনে করে বাবা-মা তার কথায় গুরুত্ব দেয় না এবং আগের মতো ভালোও বাসে না। তাই সে অনেকটাই বিমর্ষ থাকে। পাখির চিন্তা-ভাবনায় বয়ঃসন্ধিকালের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর পারিবারিক উপাদানের প্রভাব রয়েছে। পাখির আরো ধারণা পছন্দের কেনাকাটার ক্ষেত্রেও মা-বাবা কঠোরতা দেখাচ্ছে। তাই সে ভাবছে বড় হয়ে এমন এক পেশা নির্বাচন করবে যার উপার্জন দিয়ে সে তার সকল ইচ্ছা পূরণ করবে। এখানে পেশা নির্বাচনের বিষয়টি অর্থনৈতিক প্রভাবের সাথে সম্পর্কিত। কেননা কোন পেশা নির্বাচন করলে সুখী হওয়া যাবে বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েরা তা চিন্তা করে।