১৩ বছর নাঈম, অভীক ও আতিক তিন বন্ধু। নাঈম ইদানিং লক্ষ করছে তার শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটছে। মুখে দাড়ি গোঁফ উঠছে, গলার স্বরও বদলে যাচ্ছে। বড়দের সামনে যেতে তার লজ্জা লাগে। ঘরে একাকী চুপচাপ বসে থাকে। অভীক নিজের চেহারা ও পোশাকের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন ও যত্নশীল। অভীক এর বাবা-মা তার সম্পর্কে বেশ সচেতন। তারা অভীকের ইচ্ছা-অনিচ্ছার মূল্য দেন, ভুল-ত্রুটি শুধরে দেন। কোনো অবস্থাতেই বিরক্তি প্রকাশ করেন না। কিন্তু আতিকের একগুঁয়ে স্বাধীনচেতা মনোভাবের কারণে তার বাবা-মা সব সময় বিরক্তি প্রকাশ করেন
উদ্দীপকে অভীক ও আতিক এর মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে তাদের বাবা-মা'র আচরণ যথাক্রমে ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অভীকের বাবা-মা তার সম্পর্কে বেশ সচেতন। তারা তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার মূল্য দেন। ভুল-ত্রুটি শুধরে দেন। কোনো অবস্থাতেই বিরক্তি প্রকাশ করেন না। তাই তার আচরণের ওপর এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এক্ষেত্রে তার মধ্যে সাহায্য-সহযোগিতার মনোভাব, মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতনতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ, আস্থাবান ও আশাবাদী মনোবৃত্তি, স্বাবলম্বী ও সহজে অন্যের সাথে মিশতে পারার বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রকাশিত হবে।
পক্ষান্তরে, আতিকের বাবা-মা তার একগুঁয়ে স্বাধীনচেতা মনোভাবের কারণে সবসময় বিরক্তি প্রকাশ করেন। তাই তার মধ্যে এরকম আচরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আতিকের বাবা-মা'র আচরণে তাদের সাথে আতিকের সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি হবে। এক্ষেত্রে তার মধ্যে পরনির্ভরশীলতা, অবাধ্যতা প্রভৃতি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেতে পারে।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, অভীকের ক্ষেত্রে, তার বাবা-মা'র আবেগের ইতিবাচক এবং আতিকের ক্ষেত্রে তার বাবা-মা'র আচরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।