বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পৃথিবীর প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ মানসিকভাবে কমবেশি অসুস্থ। অনেকেই নিজের ওপর আত্মবিশ্বাসী নয়। অনেকে অন্যের ক্ষমতা বুঝে উঠতে পারে না। কেউ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অনেকে সহজে বিচলিত হন, এছাড়াও রয়েছে, নিজেদের মধ্যে স্নায়বিক দ্বন্দ্ব, অতিমাত্রার আবেগ, অপর্যাপ্ত যৌন কামনা। এই সব বিচারে দেখা যায় প্রায় লোকই কোনো না কোনোভাবে মানসিকভাবে অসুস্থ।
উদ্দীপকে আলোচিত অসুস্থতাগুলো নির্ণয় ও চিকিৎসায় বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল। নিম্নে মানসিক স্বাস্থ্য আন্দোলনের মূল্যায়ন করা হলো-
ক্লিফোর্ড বিয়ার্স মানসিক স্বাস্থ্য আন্দোলনের প্রবর্তক। তিনি ১৯০৯ সালে "জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য সমিতি" নামক একটি কল্যাণধর্মী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। ক্লিফোর্ড বিয়ার্সের মানসিক প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মানসিক স্বাস্থ্য আন্দোলনের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেছিল
ক্লিফোর্ড বিয়ার্সের মানসিক স্বাস্থ্য আন্দোলনের তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল: মানসিক রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের ভ্রান্ত ধারণার অবসান
ঘটানো এবং মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত লোকদের প্রতি সমাজের লোকের বিরূপ মনোভাব দূর করা। মানসিক রোগে আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং এসব রোগের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। বিজ্ঞানভিত্তিক প্রয়োগের পাশাপাশি হাসপাতালের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখা এবং রোগীদের জন্য খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। যারা রোগীদের দেখাশুনা করবেন তারা যেন সহনশীল হন এবং নিজেদের কাজে দক্ষ হন, সে ব্যাপারে নজর দেওয়া।
মানসিক স্বাস্থ্য আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সংস্থাগুলো হলো WHO, UNESCO এবং WFMH। যেকোনো সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য আন্দোলনকে জোরদার করতে হলে এ আন্দোলনের প্রতি অনুকূল জনমত গড়ে তোলা দরকার।